Minority Scholarship Scam: গত কয়েকবছরে রাজ্যে প্রায় প্রতিদিন দুর্নীতির খবর সামনে আসছে, টিভি কিংবা খবরের কাগজ খুললে চোখে পড়ে একাধিক দুর্নীতি। শিক্ষা ক্ষেত্রে এরাজ্যের দুর্নীতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। তার রেশ কেটে উঠতে না উঠতেই সামনে এলো আরও এক দুর্নীতি। কিন্তু এই দুর্নীতি শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, সারা দেশের মাথাব্যথা তৈরি করেছে। দেশের ৩৪ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছে। গতকাল কেন্দ্রীয় মাইনোরিটি অ্যাফেয়ার্স এর তরফে সাংবাদিকদের জানানো হয় ১৪৪.৮৩ কোটি টাকার দুর্নীতি সামনে এসেছে, মাইনোরিটি অ্যাফেয়ার্স এর মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানান, দেশের ৫৩ শতাংশ মাইনোরিটি স্কলারশিপ প্রতিষ্ঠানই ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই এবিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র মারফৎ খবর, এই ব্যাপারে গত ১০ জুলাই প্রথম FIR দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক। যেখানে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দেশের ৩৪ টি রাজ্যের ১৫৭২ টি স্কলারশিপ প্রদানকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৩০ -টিই দুর্নীতির সাথে যুক্ত।
কিভাবে করা হয় এই দুর্নীতি
প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্নীতি করতে মূলত জাল সুবিধাভোগী বানানো হত, এর জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সাথে হাত মেলানো হয়েছে। KYC করার জন্য National Scholarship Portal এবং The Unified District Information System for Education (UDISE) -এ দাখিল করা হত জাল আধার কার্ড ও অন্যান্য যাবতীয় কাগজপত্র। এর সাথে যুক্ত রয়েছে জেলার দায়িত্বে থাকা নোডাল অফিসাররাও, তাদের যোগসাজশই মূলত এই দুর্নীতিকে অতিরিক্ত সমর্থন দিয়েছে, কারণ প্রতিটি স্কলারশিপ এর অনুমোদন তারাই করে থাকেন। সূত্রের খবর, এদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি শুধুমাত্র কাগজে কলমে, বাস্তবে এদের কোনো অস্তিত্বই নেই!
স্কলারশিপ : প্রধানমন্ত্রীর এই স্কলারশিপে আবেদন করে পাওয়া যাবে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা!
বিভিন্ন রাজ্য অনুযায়ী ভুয়ো প্রতিষ্ঠান
দেশের ৩৪ টি রাজ্যের অনুপাতে সংখ্যাটা ৫৩ শতাংশ, তবে রাজ্য অনুসারে তা ভিন্ন। যেমন, কর্নাটকের ৬৪ শতাংশ সংস্থা, আসামের ৬৮ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গের ৩৯ শতাংশ, রাজস্থানের ৭৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই স্কলারশিপ দুর্নীতির সাথে যুক্ত।
উল্লেখ্য, ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে তৎকালীন সরকার কর্তৃক দেশের ১ লক্ষ ৮০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্কলারশিপ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসে, যেখানে ক্লাস 1 থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের এই সুবিধা প্রদান করা শুরু হয়। কিন্তু এই প্রচেষ্টা সংখ্যালঘু শিক্ষার প্রসারে আদতে কাদের লাভবান করেছে, সেটাই এখন ভাববার বিষয়!
শিক্ষার খবর : চিরাচরিত নিয়ম সম্পূর্ণ পাল্টে গেল, এবার থেকে নতুন পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্যমিক!
Quiz Test : বিদ্যা হল গোপীর বউ, গোপী হল অখিলের ভাই, অখিল হল বিজয়ের কাকু, তাহলে বিজয়ের সঙ্গে বিদ্যার কি সম্পর্ক?