Duare Sarkar Electricity Bill: অর্ধেক বিল জমা করলেই বাকি বিল সম্পূর্ণ মুকুব! দুয়ারে সরকারের এই কর্মসূচিতে বিপুল সাড়া।

WhatsApp Group (Join Now)
Join Now
Telegram Group (Join Now)
Join Now

Duare Sarkar Electricity Bill Subsidy: এবার বিদ্যুতের বকেয়া বিলে ছাড় পাবেন বঙ্গবাসী! হ্যাঁ, সত্যিই। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গেছে ‘দুয়ারে সরকার’। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটানা চলার পর, আবার ১৮ ই সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লাগাতার চলবে এই অভিযান। মোট ২ লক্ষ শিবিরে রাজ্যের প্রতিটি মানুষ মোট ৩৫ টি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এখানেই বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা মূলত দুটি সুবিধার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। একটি হল নতুন বিদ্যুৎ কানেকশনের জন্য আবেদন এবং আরেকটি বিদ্যুৎ বিল মুকুবের আবেদন।

যেসমস্ত মানুষেরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে অসমর্থ, বছরের পর বছর বিল জমা করতে পারেননি এবং যার ফলে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ আকাশ ছুঁয়েছে, সেইসাথে জমে গিয়েছে চড়া সুদ- তাদের জন্য রয়েছে বিরাট ছাড়! সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, যাদের বিল গত কয়েক বছরে পরিশোধ হয়নি, তারা ২০১৮ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিলের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন, অর্থাৎ ধরুন, কারোর বিদ্যুৎ বিল যদি ২০১৮ এর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৪০ হাজার হয়ে থাকে, তবে তাকে ২০ হাজার জমা করলেই বাকি বিল প্রদান থেকে মুক্তি পাবেন।

আরেকটি খবর : বাড়িতে বাড়িতে খুলে ফেলা হচ্ছে ডিজিটাল মিটার, বসানো হচ্ছে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার।

এর জন্য বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়ে, বিদ্যুৎ বিভাগের আবেদন ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। তারপর সেটি জমা করে, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। যদি গ্রাহকের লাইন কাটা গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ বিলে এই ছাড় শুধুমাত্র বাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্যই নয়, যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে চাষাবাদ করেন- তারাও এই সুবিধা লুফে নিতে পারেন।

এছাড়া, বিদ্যুৎ দপ্তরের আরেকটি পরিষেবাও এই দুয়ারে সরকার অভিযানে পেয়ে যাবেন রাজ্যের মানুষ, সেটি হল নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন। এর জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম ফিলাপ করতে হবে, দপ্তরের সমীক্ষার পর, আবেদনকারী ৪ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে যাবেন।

এটিও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে রেশন দোকানগুলিতে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালুর প্রস্তাব কেন্দ্রের, এছাড়াও চালু হবে এইসব পরিষেবা- দেখুন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতির পরিমাণ প্রচুর, যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট- লোডশেডিং। এর একমাত্র কারণ রাজ্য সরকারের আর্থিক অনটন। যার ফলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে রাজ্য যথেষ্ট পরিমাণ কয়লা সাপ্লাই দিতে পারছেনা। এইরকম ভাঁড়ার শূন্য পরিস্থিতিতে অফার দেওয়ার মাধ্যমে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহের চেষ্টা কিছুটা হলেও লাভজনক হতে পারে।

স্কলারশিপ : সব ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরাই পাবে টাকা, সহজেই আবেদন করুন অনলাইনে।

WhatsApp Group (Join Now)
Join Now
Telegram Group (Join Now)
Join Now

Leave a Comment