Debit Card Insurance Benefit 2023: এই ডিজিটাল যুগে প্রায় প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে স্মার্টফোন, যা দিয়ে চোখের পলকেই হয়ে যায় টাকার আদান-প্রদান। তবে এই আদান-প্রদান হওয়া টাকা সীমিত থেকে যায় মোবাইলের স্ক্রিনের মধ্যেই। তাই যদি হঠাৎ ক্যাশ টাকার দরকার হয়, ছুটে চলে যেতে হয় ATM-এ। এটিএম কার্ডের এর সাহায্যে তোলা হয় এই টাকা, আর এটিএম-এ টাকা তোলার সময়, বেশিরভাগ সময়ই আমরা ডেবিট কার্ডের ব্যবহার করে থাকি। কারণ ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলার সময়, ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের বিভিন্ন কোম্পানির (Rupay, Visa অথবা Master Card) ডেবিট কার্ড দিয়ে থাকে। আর সেইসাথে এই কার্ডের গ্রাহকদের, ব্যাঙ্ক বিনামূল্যে দুর্ঘটনা বীমার (Accident Insurance Benefit) সুবিধাও প্রদান করে থাকে।
কত টাকার দুর্ঘটনা বীমার সুবিধা পাওয়া যায়?
ব্যাঙ্ক ও কার্ডের প্রকারভেদে এই দুর্ঘটনা বীমার ভর্তুকির পরিমান ভিন্ন হয়। নিচে কিছু বিশেষ ব্যাঙ্কের নাম সহ ভর্তুকির পরিমান উল্লেখ করা হল।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া : স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তার গ্রাহকদের বিনামূল্যে ২ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনাজনিত ভর্তুকির সুবিধা দিয়ে থাকে।
কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক : কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকদের বিনামূল্যে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনাজনিত ভর্তুকির সুবিধা দিয়ে থাকে।
HDFC ব্যাঙ্ক : HDFC ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকদের বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনাজনিত ভর্তুকির সুবিধা দিয়ে থাকে।
Axis ব্যাঙ্ক : Axis ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকদের বিনামূল্যে ৫০,০০০ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনাজনিত ভর্তুকির সুবিধা প্রদান করে।
এটিও পড়ুন: Google Pay নিয়ে এলো নতুন ফিচার, এখন এই অপশনটি অন করলেই ছোটোখাটো পেমেন্টে দিতে হবেনা UPI পিন।
ইন্সুরেন্স এর শর্তাবলী
১) এই ইন্সুরেন্স ক্লেইম করা যাবে, যদি ডেবিট কার্ডটি দুর্ঘটনার দিন থেকে ৯০ দিন আগে পর্যন্ত ব্যবহার হয়ে থাকে।
২) ইন্সুরেন্স পেতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পঙ্গু/মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ৬০ দিনের মধ্যে ব্যাংকে ইন্সুরেন্স ক্লেইম করতে হবে।
৩) এই ইন্সুরেন্সটি ডেবিট কার্ডের কোম্পানি ও তার প্রকারভেদে ভিন্ন রকমের ইন্সুরেন্স ভর্তুকি দিয়ে থাকে, তাই আপনি যে কোম্পানির ডেবিট কার্ড ব্যবহার করছেন সে অনুযায়ীই ভর্তুকির টাকা পাবেন।
শেষের বার্তা
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রাহকদের উচিত তাদের ব্যাঙ্ক শাখাতে গিয়ে ডেবিট কার্ডে পাওয়া ইন্সুরেন্স এবং তার শর্তাবলীর বিষয়ে আগে থেকে জেনে রাখা। তাতে পরবর্তীকালে ইন্সুরেন্স ক্লেইম করতে গ্রাহকেরা এবং তাদের পরিজনেরা অবগত তথা অনেকটাই সজাগ থাকবেন, কারণ শধুমাত্র অবগতির অভাবে অনেক পরিবার ইন্সুরেন্স ক্লেইমই করেননা।