Calcutta High Court: চাকুরীজীবী বাবার মৃত্যুতে সন্তানের চাকরি পাওয়া নিয়ে বড় নির্দেশ, ৩ টি শর্ত বেঁধে দিল আদালত।

WhatsApp Group (Join Now)
Join Now
Telegram Group (Join Now)
Join Now

Calcutta High Court Verdict: পিতা-মাতার চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যু হলে ছেলের বা পরিবারের অন্য কারোর চাকরি পাওয়াটা বংশগত অধিকার নয়, সম্প্রতি কোলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে তুমুল শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যে। হাইকোর্টে একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।

মামলাকারীর নাম টার্জন ঘোষ। তার পঞ্চাশোর্দ্ধ বাবার মৃত্যু হয় ২০০৭ সালে, তিনি দুই বছর বাদে ‘ক্ষতিপূরণ চাকরির’ আবেদন জানান। তার অভিযোগ রাজ্য সরকার তাকে চাকরি দিতে অস্বীকার করে। অবশেষে, ২০০৯ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন, দীর্ঘ ১৩ বছর কেস চলার পর, সম্প্রতি আদালত এই মামলার রায়দান করেন।

এই মামলায় হাইকোর্টের মন্তব্য

আদালত এই মামলার রায়দান করতে গিয়ে জানান, ক্ষতিপূরণ বাবদ চাকরি সরকারের সহানুভূতির ভিত্তিতে প্রদান করা হয়ে থাকে, এটি কোনো বংশগত অধিকার নয়। এতে প্রকৃত মেধা নষ্ট হয়। তাছাড়া মৃত্যুকালীন সময়ে, মামলাকারী প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন, তিনি নিজের পেশা বেছে নিতেও সক্ষম ছিলেন। আর নিয়মানুযায়ী, চাকরি চলাকালীন মৃত্যুতে যদি পরিবারের লোকেদের লোকসান হয়, সেক্ষেত্রে এক বছরের মধ্যে চাকরির আবেদন জানানোর নিয়ম, কিন্তু এক্ষেত্রে আবেদনকারী ব্যক্তি ২ বছর বাদে আবেদন করেছিলেন। আদালতের প্রশ্ন, যদি তিনি এবং তার পরিবার মৃত ব্যক্তির ওপর এতটাই নির্ভরশীল ছিলেন, তবে এত দেরীতে কেন আবেদন করলেন?

চাকরির খবর : ONGC তে ২৫০০ শূন্যপদে শিক্ষানবিশ নিয়োগ, ন্যূনতম মাধ্যমিক যোগ্যতায় অনলাইন আবেদন করুন।

এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

বিভিন্ন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এর আগেও একাধিকবার রায়দান করেছেন। মূলত তিনটি বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট তাঁদের পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া চালান-
১) মৃত্যুর পর পরিবারের কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা।
২) মৃত ব্যক্তির আয়, পরিবারের মোট আয়ের ৪০ শতাংশের নীচে কিনা।
৩) মৃত্যুর পর পাওয়া চাকরি সহানুভূতির ভিত্তিতে দেওয়া যেতে পারে, এর জন্য দাবী করা উচিৎ নয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ৭০ টি পুরসভার প্রায় কয়েকশো মামলাকারী চাকরির দাবীতে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। প্রথমে ডিভিশন বেঞ্চে তারা জিতলেও, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তারা হেরে যান।

আরেকটি খবর : বাড়িতে বাড়িতে খুলে ফেলা হচ্ছে ডিজিটাল মিটার, বসানো হচ্ছে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার।

এটিও পড়ুন : অর্ধেক বিল জমা করলেই বাকি বিল সম্পূর্ণ মুকুব! দুয়ারে সরকারের এই কর্মসূচিতে বিপুল সাড়া।

WhatsApp Group (Join Now)
Join Now
Telegram Group (Join Now)
Join Now

Leave a Comment