কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy 2020) এর পরামর্শ অনুযায়ী অনেক টালবাহানার পর অবশেষে রাজ্যে ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৪ বছরে স্নাতক ডিগ্রী করার সিদ্ধান্তে মান্যতা দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। ফলেই, প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে, তবে কি এবার জাতীয় শিক্ষানীতি এর অন্যতম আরেকটি সুপারিশেও শীলমোহর দিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার?
কেন্দ্র সরকার NCERT এর দ্বারা দেশব্যাপী একটি সমীক্ষা চালায়, তাতে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, যাঁরা মাধ্যমিকে ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর নিয়ে পাশ করলেও, পরবর্তীতে উচ্চমাধ্যমিকে তাঁদের অধিকাংশের রেজাল্টে প্রায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। এ ব্যাপারে তারা দুটি আলাদা বোর্ডের অন্তর্গত দুটি পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিকেই দুষছেন, অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের দুটি আলাদা বোর্ড হওয়ায় তাঁদের মেধা চয়ন পদ্ধতির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। তাই কেন্দ্র চাইছে, দেশের রাজ্যগুলিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড দুটিকে মিলিয়ে, একটি বোর্ডে পরিণত করতে।
ইতিমধ্যেই পাশ্ববর্তী রাজ্য আসামে এই শিক্ষানীতিকে মান্যতা দিয়ে, আগামী ২০২৪-২৫ সেশন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আসামে আগামী সেশন থেকে, ক্লাস ১ থেকে ৯ পর্যন্ত হয়ে আসা পাশ/ফেলের প্রক্রিয়াটিকে বাড়িয়ে, একই পদ্ধতিতে ক্লাস ১০ ও ১১ কেও যুক্ত করা হবে, এর ফলে আসামের ছাত্রছাত্রীরা শুধুমাত্র ক্লাস ১২ এ ওঠার পরই জীবনের প্রথম বোর্ডের পরীক্ষায় বসবে। তাই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে তবে কি পশ্চিমবঙ্গও আসামের দেখানো পথে হেঁটেই, জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবে সাড়া দেবে?
চাকরির খবর : পশ্চিমবঙ্গে ৭০০ এর বেশি পদে গ্রামীণ ব্যাঙ্কে চাকরি, অনলাইনে করুন আবেদন।
এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি জানান, “কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান পর্ষদের মূল্যায়ন ক্ষমতাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না।” প্রায় একই সুরে, সুর মিলিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচাৰ্য জানিয়েছেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুতিমূলক ভাবে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে, তাই বর্তমানে চালু থাকা পদ্ধতি বজায় থাকলেই ভালো।”
অর্থাৎ, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্ষদের দুই সভাপতিই চাইছেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা একইরকমভাবে চলুক। এ বিষয়ে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর পরবর্তীতে কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার। তবে যা সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, আগামী ২০২৪ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কোনো প্রভাব ফেলবে না।
প্রসঙ্গত, CBSE বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে তারা মাধ্যমিক তুলে দিচ্ছেনা, তবে শিক্ষার মান আরও উন্নততর করতে মাধ্যমিক সিলেবাসে অনেকটাই পরিবর্তন আনতে চলেছে তারা।