Kisan Credit Card Scheme 2023: ভারতবর্ষকে মূলত কৃষি প্রধান দেশে হিসেবে মানা হয়। কারণ দেশের অধিকতম জনসংখ্যা এখনও কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গেই যুক্ত। ভারতবর্ষের জিডিপির ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ আসে শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্র থেকেই। ফলে কৃষকদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে সরকারের তরফে বিভিন্ন ধরণের স্কিম তথা প্রকল্প চালানো হয়। কৃষকের আয় যেহেতু আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল, তাই কখনো ঝড় অথবা কখনো অনাবৃষ্টির ফলে, তাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। যার ফলে পরবর্তী ফলনের সময় তাদের লোনের প্রয়োজন হয় এবং তারা স্থানীয় কারোর থেকে চড়া সুদে লোন নিতে বাধ্যতা হয়। কৃষকদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সরকার চালু করেছে “কিষান ক্রেডিট কার্ড”।
কিষান ক্রেডিট কার্ড লোনের পরিমান এবং সুদ
কিষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অত্যন্ত কম সুদে লোন দেওয়া হয়। এই কার্ডের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যায় শুধুমাত্র ৪ শতাংশ সুদের হারে। সেইসাথে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার লোনে কৃষকদের কোনোকিছু বন্ধক রাখারও প্রয়োজন হয়না।
কিষান ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
দেশের প্রতিটি কৃষক, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছরে মধ্যে- তারা সবাই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন : ব্যাঙ্ক যে বিষয়টি লুকোয়, জানেন কি ২৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে ইন্সুরেন্স রয়েছে আপনার এটিএম কার্ডে?
কোন কোন ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাওয়া যায়?
কিষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সবচেয়ে কম সুদের হারে, সবচেয়ে বেশি লোন প্রদান করে থাকে। আপনি স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে ৩ লক্ষ টাকার লোন মাত্র ২% সুদের হারে পেয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও সরকার মাঝে মধ্যেই এইসব লোনে সাবসিডি প্রদান করে থাকে।
KCC (কিষান ক্রেডিট কার্ড) এর জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগে?
কিষান ক্রেডিট কার্ডের লোন পাওয়া জন্য, কৃষকদের ডকুমেন্টস হিসেবে মূলত আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং জমির কাগজ ব্যাংকে জমা দিতে হয়।
যদি আপনার কিষান ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন হয়, তবে এক্ষুনি আপনার পছন্দসই যেকোনো ব্যাংকে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা করে আসুন। এছাড়া আপনি ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে KCC অর্থাৎ কিষান ক্রেডিট কার্ডের ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারেন।