Chandrayaan- 3 Mission: চন্দ্রাযান- ৩ বা ইংরেজিতে Chandrayaan- 3 হল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো দ্বারা তৈরী ভারতের তৃতীয় চন্দ্র মিশন এবং দ্বিতীয় বারের জন্য সফ্ট ল্যান্ডিং করার একটি প্রচেষ্টা। ৩৯০০ কেজি ওজনের এই চন্দ্রযানে, চন্দ্রাযান- ২ এর মতোই একটি “ল্যান্ডার”, যার নাম রাখা হয়েছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান নামের একটি “রোভার” থাকলেও, চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার জন্য এবার আর কোনো “অর্বিটার” থাকছেনা। এটি আজ দুপুর ২.৩৫ নাগাদ, অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে, “ফ্যাট বয়” LVM3 M4 রকেটের মাধ্যমে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হবে, যা আগামী ২৩ আগষ্ট ২০২৩ এ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পদার্পন করবে এবং আগামী ১২ দিন চাঁদের বুকে গবেষণা চালাবে।
প্রসঙ্গত, ৪ বছর আগে ভারত চন্দ্রযান মিশন launch করেছিল, নাম ছিল Chandrayaan- 2. সেবারও মিশনের লক্ষ্য ছিল, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পদার্পন করার, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সফটওয়্যার এর সমস্যা হওয়ায় “বিক্রম ল্যান্ডারের” সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং গতি হারিয়ে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে। যদিও মিশনের অন্তর্গত চাঁদকে প্রদক্ষিণকারী অর্বিটার তখনও ঠিকঠাক কাজ করছিল এবং মিশন সম্পূর্ণ করেছিল।
Chandrayaan- 3 মিশন সম্পন্ন করার খরচ
চন্দ্রাযান ৩ মিশন সম্পন্ন করতে ইসরো মোট ৬১৫ কোটি টাকা খরচ করেছে।
Chandrayaan- 3 মিশনের উদ্দেশ্য কি?
এককথায়, Chandrayaan- 3 মিশনের উদ্দেশ্য হল চাঁদকে আরও ভালো করে বোঝা। তবে এর তিনটি প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য রয়েছে-
১) সফলভাবে ও সহজভাবে চাঁদের বুকে পদার্পন অর্থাৎ Soft ল্যান্ডিং।
২) রোভার এর ক্ষমতা পরীক্ষা ও প্রদর্শন করা।
৩) চাঁদের মধ্যেকার মাটি, জল ও বিভিন্ন পদার্থ নিয়ে বিজ্ঞানমূলক পরীক্ষা নিরীক্ষা।
চাকরির খবর : Food SI পদের কাজ কি, কত টাকা বেতন, গত বছরের Cut Off Marks কত ছিল – সব প্রশ্নের উত্তর জানুন।
যদি, ভারত এই মিশনে সফল হয়, তবে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের পর ভারত চতুর্থ দেশে হতে চলেছে, যে দেশ চাঁদের মাটিতে সফল পদার্পন করতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, এবছর ইজরায়েল এবং জাপানের দুটি বেসরকারি সংস্থা চাঁদে পদার্পন করার চেষ্টা করে বিফল হয়।
ওপরের প্রবন্ধটিতে চন্দ্রাযান ৩ (Chandrayaan 3) মিশনের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করা হল। রাজ্যের কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারি যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় আগামী কয়েকবছর এবিষয়ে প্রশ্ন আসার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।