EWS Certificate : আর্থ-সামাজিক বৈষম্য মোকাবিলার জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারত সরকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ অর্থাৎ EWS কোটা চালু করেছে। 2019 সালে চালু হওয়া এই EWS কোটার লক্ষ্য অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের রিজার্ভেশন প্রদান করা। শুধুমাত্র জেনারেল ক্যাটাগরির মানুষেরাই এর মাধ্যমে সুবিধা পাবেন, ফলে OBC, SC, ST শ্রেণীভুক্তরা EWS এর জন্য আবেদন করতে পাবেন না। এই প্রতিবেদনে, আমরা এই ক্যাটাগরি এর অন্তর্গত সুবিধাগুলি অন্বেষণ করব, এবং কিভাবে, কোন কোন শর্তে এই কোটায় আবেদন করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা করবো।
EWS ক্যাটাগরি- এর মাধ্যমে প্রাপ্ত সুবিধা
EWS ক্যাটাগরি এর অন্তর্ভুক্ত মানুষেরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে সুবিধাভোগ করে থাকেন-
১) EWS এর আওতায় থাকা ছাত্রছাত্রীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষিত কোটার সুবিধা পেয়ে থাকেন।
২) সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও শূন্যপদের ১০ শতাংশ EWS প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
৩) EWS এর আওতায় থাকা ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা ও স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। তাতে আর্থিকভাবে দুর্বল ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা অনেক উপকৃত হন।
৪) এই কোটার অন্তর্গত ছাত্রছাত্রীদের স্বাবলম্বী করে তুলতে, সরকার বিভিন্ন স্কিল বিষয়ক প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে।
কারা EWS সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন জানাতে পারবেন?
১) পারিবারিক বাৎসরিক আয় হতে হবে ৮ লক্ষের কম।
২) পারিবারিক কৃষি জমির পরিমাণ হতে হবে ৮ বিঘার কম।
৩) ফ্ল্যাটে বসবাসকারীদের, ফ্ল্যাটের আয়তন হতে হবে ১০০০ বর্গফুটের মধ্যে।
৪) পৌরসভার বাসিন্দাদের বাসস্থানের পরিমাণ হতে হবে ৯০০ বর্গফুট বা ১.৫ কাটার মধ্যে এবং পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের বাসস্থানের পরিমাণ হতে হবে ১৮০০ বর্গফুটের মধ্যে।
EWS সার্টিফিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
বাবা-মা এবং আবেদনকারীর-
১) ভোটার ID কার্ড।
২) আধার কার্ড।
৩) PAN কার্ড। (যাদের রয়েছে)
এছাড়া,
৪) বার্থ সার্টিফিকেট অথবা মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড।
৫) বাবা/মা/স্বামী/স্ত্রী- যদি কেউ চাকুরীজীবি হয়ে থাকেন, তবে তাদের গত একবছরের স্যালারি স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। আর যদি কেউ ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তবে তাদের ইনকাম সার্টিফিকেট বা গত ৩ বছরে জমা করা ইনকাম ট্যাক্সের হিসেব জমা দিতে হবে।
৬) যারা ট্যাক্সের আওতায় পড়েন না, তারা পঞ্চায়েত বা কাউন্সিলরের ইস্যু করা ইনকাম সার্টিফিকেট জমা দেবেন।
৭) পঞ্চায়েত বা কাউন্সিলরের ইস্যু করা, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট অর্থাৎ স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণপত্র।
৮) জমির খতিয়ান, পর্চা, দলিল ও পঞ্চায়েত অথবা পৌরসভায় জমা করা ট্যাক্সের রশিদ। যাদের মৃত ঠাকুরদার সম্পত্তি আছে, তাদের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত অথবা পৌরসভা থেকে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নিয়ে জমা দিতে হবে।
৯) পঞ্চায়েত অথবা পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত ইনকাম সার্টিফিকেট।
১০) সমস্ত ডকুমেন্টসগুলি কোনো প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এটেস্টেড করিয়ে নিতে হবে।
আরও খবর : Chandrayaan- 3 মিশনে কত খরচ, চাঁদে ঠিক কি খুঁজতে এই মিশন পাঠানো হচ্ছে: ২ মিনিটে জেনে নিন সব তথ্য।
EWS এর আবেদন ও ডকুমেন্টস জমার ঠিকানা
⇒ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা BDO অফিসে জমা দেবেন।
⇒ পৌরসভা এলাকার বাসিন্দারা SDO অফিসে জমা দেবেন।
⇒ কোলকাতা কর্পোরেশনের বাসিন্দারা DWO অফিসে জমা দেবেন।
EWS সার্টিফিকেট পাওয়ার সময়কাল
সব ডকুমেন্টস ঠিকঠাক থাকলে ১৫-৩০ দিনের মধ্যেই সার্টিফিকেট হাতে পাবেন।
EWS সার্টিফিকেট এর বৈধতা
EWS সার্টিফিকেট এক বছর পর পর রিনিউ করাতে হয়।
আশা করি আমার এই নিবন্ধটি সকলের ভালো লেগেছে, যদি ভালো লেগে থাকে তবে, পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলোনা। আর নিচে দেওয়া WhatsApp ও টেলিগ্রাম লিঙ্কে যুক্ত থাকো নতুন নতুন আপডেটগুলি পেতে। ধন্যবাদ।
চাকরির খবর : রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্পে একাধিক গ্রুপ C কর্মী নিয়োগ, তাড়াতাড়ি সেরে ফেলুন আবেদন।