Balika Samriddhi Yojana 2023: মেয়েদের শিক্ষার অগ্রগতির উদ্দেশ্যে চালু হল কেন্দ্রের নতুন একটি প্রকল্প, যার নাম বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা। গ্রাম ও শহরে বসবাসকারী সকল দরিদ্র স্কুল ছাত্রীদের জন্য গঠন করা হয়েছে এই প্রকল্প, যার মাধ্যমে প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সকল BPL শ্রেণীভুক্ত মেয়েদের জন্য চালু হওয়া এই প্রকল্প রাজ্যে চলা শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের মতন হলেও কিছুক্ষেত্রে আলাদা। তবে, দুটি প্রকল্পই গরিব ছাত্রছাত্রীদের জন্য কিছুটা হলেও সহযোগী হয়ে উঠবে- এটা অনুমেয়।
বালিকা সমৃদ্ধি যোজনায় আর্থিক সাহায্যের তালিকা
এই যোজনায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের আলাদা আলাদা মূল্যের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ শ্রেণী অনুসারে আর্থিক সাহায্যের হার ভিন্ন। নীচে আমরা একটি তালিকার মাধ্যমে এই যোজনায় অন্তর্গত আর্থিক সহায়তার হার জেনে নেব।
⇒ প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণী – ৩০০ টাকা প্রতি বছর।
⇒ চতুর্থ শ্রেণী – ৫০০ টাকা প্রতি বছর।
⇒ পঞ্চম শ্রেণী – ৬০০ টাকা প্রতি বছর।
⇒ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি – ৭০০ টাকা প্রতি বছর।
⇒ অষ্টম শ্রেণী – ৮০০ টাকা প্রতি বছর।
⇒ নবম ও দশম শ্রেণী – ১০০০ টাকা প্রতি বছর।
আর্থিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা
১) অনুদান প্রাপ্ত মেয়েকে BPL এর শ্রেণীভুক্ত হতে হবে।
২) পারিবারিক আয় বছরে ২ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া চলবে না।
৩) শুধুমাত্র পরিবারের প্রথম এবং দ্বিতীয় মেয়েরাই এই সুবিধা পাবে, তৃতীয় কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে এই অনুদান মিলবে না।
আরেকটি প্রকল্প: সুকন্যা সমৃদ্ধি প্রকল্প- ১২৫০০ টাকা জমা করুন আর পেয়ে যান ৬৭,৩৪,৫৩৪ টাকা!
প্রকল্পে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি
বালিকা সমৃদ্ধি যোজনায় আবেদনের জন্য যেসব নথি জমা দিতে হবে, সেগুলি হল-
১) আবেদনকারী মেয়ের জন্মের শংসাপত্র।
২) অভিভাবকের ঠিকানার প্রমান হিসেবে সরকার স্বীকৃত যেকোনো একটি ID Card, যেমন – প্যান কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড অথবা ভোটার কার্ড ইত্যাদি।
৩) BPL শ্রেণীর অন্তর্ভুক্তির প্রমান হিসেবে রেশন কার্ড।
৪) পাশপোর্ট সাইজের ফোটো।
৫) ইনকাম সার্টিফিকেট।
৬) স্কুলে ভর্তির অথবা বার্ষিক পরীক্ষার মার্কশীট।
কোথায় কিভাবে আবেদন করা যাবে?
⇒ এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে সবার প্রথমে আবেদনকারীকে তার নিজের এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা মিউনিসিপালিটি অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। তবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা গ্রামীণ স্বাস্থ্য কর্মীদের থেকেও এই ফর্ম সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া অনলাইনে Child Protection and Child Rights এর ওয়েবসাইট থেকেও ফর্মটি ডাউনলোড করা যেতে পারে।
⇒ এরপর ফর্মটি ফিলাপ করে জমা দিতে হবে, জমা দেওয়ার পর একটি স্লিপ দেওয়া হবে যেখানে ট্র্যাকিং ID দেওয়া থাকবে।
⇒ আবেদনপত্রটি জেলা পর্যায়ে ভেরিফিকেশনের পর অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হবে।